১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:২৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির মিছিলে হামলার পর সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০

বিএনপির মিছিলে হামলার পর সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপির একটি মিছিলে হামলার পর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে চারটা থেকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী উভয়পক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

তবে, এই ঘটনায় রাত দশটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু জানান, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে বিকেলে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতারা একটি মিছিলের আয়োজন করেন। এই মিছিলের জন্য নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করলে তাদের উপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায় বলে অভিযোগ তার।

তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার আলাউদ্দিন হাজীর ছেলে আক্তার, সুমন ও তার মেয়ের জামাই যুবলীগের ক্যাডার গোলাম মাসুদ ওরফে ওলা মাসুদ। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন।’

এই হামলায় বিএনপির কয়েকজন নেতাও মদদ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির মিছিলের আগেই নেতা-কর্মীদের স্থানীয় যুবলীগের ক্যাডাররা উপর হামলা করে। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে ফতুল্লা রেললাইনের বটতলা এলাকা থেকে কাঠেরপুল এলাকা পর্যন্ত ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

এই সময় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, পুলিশ জানিয়েছে গুলি চালানোর কোনোরকম তথ্য তারা পাননি।

সংঘর্ষ চলাকালীন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার সামনে ভ্যানগাড়িতে রাখা কাপড়ও পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান মাহমুদ বলেন, ‘বিকেলে সংবাদ পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সেখানে বিএনপির লোকজন একটি মিছিলের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তবে মিছিলের আগেই মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়ানো উভয়পক্ষের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তবে সেখানে গুলি চালানো হয়েছে এমন কোনো তথ্য বা আলামত আমরা পাইনি। উভয়পক্ষের লোকজনই ঢিল ছোড়ার কারণে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আর ভ্যানে থাকা কিছু কাপড়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়