১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অস্ত্র জমা দিয়েছেন যারা

অস্ত্র জমা দিয়েছেন যারা

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর গত ১৫ বছরে নারায়ণগঞ্জে যাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী কিংবা তাদের ঘনিষ্ঠজন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আত্মগোপন করেন। নেতাদের মধ্যে অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে খবর রয়েছে। তবে অনেকে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে থানাগুলোতে অস্ত্র জমা দিয়েছেন।

অস্ত্র জমা দেওয়ার তালিকায় আছেন ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ চেম্বর অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল। তার নামে থাকা এনপিবি পিস্তলটি তিনি জমা দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তিনি এটির লাইসেন্সপ্রাপ্ত হন।
আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছেন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা এহসানউদ্দিন আহমেদ। তার নামে পয়েন্ট ২২ বোরের একটি রাইফেলের লাইসেন্স ছিল।

সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদ হাসান জিন্নাহ তার পয়েন্ট ৩২ বোরের রিভলবারটি জমা দিয়েছেন। গত ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর তিনি অস্ত্রটির লাইসেন্স পান।

তবে তার নামে থাকা একটি বন্দুকও রয়েছে, সেটি তিনি জমা দেননি। ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স পেয়েছিলেন তিনি।

আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গোপালদী পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র এমএ হালিম সিকদার তার শটগানটি জমা দিয়েছেন। তাকে ২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর অস্ত্রটির লাইসেন্স দেওয়া হয়। তার নামে ইস্যু হওয়া পিস্তলটিও তিনি জমা দিয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান তার পয়েন্ট ৩২ বোরের পিস্তলটি জমা দিয়েছেন। ২০১০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লাইসেন্সপ্রাপ্ত হন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ওসমানঘনিষ্ঠ যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোহসীন মিয়া তার শটগানটি জমা দিয়েছেন। তিনি ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অস্ত্রটির লাইসেন্স পান। ২০২১ সালের ১৮ মার্চ একটি এনপিবি পিস্তলের লাইসেন্স নেন তিনি। এটিও জমা পড়েছে।

শামীম ওসমানের স্ত্রীর চাচাতো ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু তার শটগানটি জমা দিয়েছেন। ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট তিনি এটির লাইসেন্স পান। ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট তিনি একটি পিস্তলের লাইসেন্স নেন। এটিও তিনি জমা দিয়েছেন।

অস্ত্র জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিন। তাদের তিনজনের নামেই শটগানের লাইসেন্স ছিল।

আব্দুল করিম বাবু তার পিস্তলটিও জমা দিয়েছেন। ২০১১ সালের ১ নভেম্বর পিস্তলটির লাইসেন্স পেয়েছিলেন।

রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ তার শটগানটি জমা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অন্তত তিনটি হত্যা মামলা থাকলেও ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স পান তিনি। নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র ছাড়াও অস্ত্রধারী তিন বডিগার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়