হত্যা মামলায় আসামি মুকুল, দুষলেন সাখাওয়াত-টিপুকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন পোশাক শ্রমিক মিনারুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলকে। এদিকে, মুকুলের অভিযোগ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর ইন্ধনে হত্যা মামলায় তার নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে মিনারুলের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় মুকুলকে ১১৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও যুবদল নেতা এনায়েত হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আতাউর রহমান মুকুল প্রেস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘আমি শুনেছি আমার নামও মামলায় দেওয়া হয়েছে। এই শহরে বিএনপির রাজনীতি থেকে আমাকে মাইনাস করতে এই ধরনের কার্যক্রম করছে সাখাওয়াত আর টিপু। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করতে সাখাওয়াত ও টিপুর ইন্ধনে আসামির তালিকায় আমার নামটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তারা মনে করেছে এভাবে আমাকে দমিয়ে রাখা যাবে।’
আতাউর রহমান মুকুল বন্দর উপজেলা পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতি করলেও নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সাথে তার সখ্যতা ছিল। তিনি গত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করেছেন।
এদিকে, মুকুলের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন খান প্রেস নারায়ণগঞ্জকে বলেন, ‘এই মামলাটা তো আমাদের ডিরেকশনে হয়নি। এ ব্যাপারে আমাদের কোনো হাত নাই। যে বাদী তার বাড়ি রাজশাহী। সে কীভাবে মামলা দিছে সেইটা বাদী জানে। আর আতাউর রহমান মুকুল তো বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। তার সাথে তো আমাদের কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নাই। আর উনি গত ১৫ বছর ওসমান পরিবারের লেজুড়বৃত্তি করেছে। এই ওসমান পরিবারের আদেশ-নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের উপর স্টিম রোলার চালিয়েছে। তারই প্রতিফলন ঘটতে পারে এই মামলার ক্ষেত্রে।’