১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ত্বকী হত্যা: র‍্যাবের তৎপরতায় ন্যায়বিচারে আশাবাদী পরিবার

ত্বকী হত্যা: র‍্যাবের তৎপরতায় ন্যায়বিচারে আশাবাদী পরিবার

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বর্ষপূর্তির একদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাব জানিয়েছিল, এই হত্যা মামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন তারা। যেকোনো দিন আদালতে জমা পড়বে অভিযোগপত্র। কিন্তু এরপর এই মামলার আর কোনো অগ্রগতি পাওয়া যায়নি। এই হত্যা মামলায় ওসমান পরিবারের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের বাঁচাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘নির্দেশে’ এই তদন্ত আটকে ছিল বলে বরাবরই অভিযোগ করেছেন ত্বকীর পরিবারের সদস্যরা।

দীর্ঘ দশ বছর পর গত চারদিনে এই মামলায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের সকলেই ত্বকী হত্যার সরাসরি জড়িত বলে অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠজন এবং প্রত্যেকেই এই হত্যা মামলার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

আজমেরী প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ভাতিজা।

অনেক বছর আটকে থাকলেও মামলাটির তদন্ত দ্রæত শেষ করতে চায় বলে জানিয়েছে র‍্যাব। তিনমাসের মধ্যে মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

দীর্ঘ সময় পর র‍্যাবের এই তৎপরতায় আশাবাদী ত্বকীর পিতা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘একবছরের মাথায় ২০১৪ সালের ৫ মার্চ র‍্যাবের তদন্তে সব বেরিয়ে এসেছিল। ওসমান পরিবারের টর্চার সেলে ত্বকীকে কীভাবে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলা হলো সবই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল র‍্যাব। কিন্তু যখনই শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেন, তখনই এই মামলার সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পেরিয়েছে মাত্র একমাস। এই সময়ের মধ্যেই ত্বকী হত্যা মামলাটির অগ্রগতি দেখে ‘ন্যায়বিচার’ নিয়ে আশাবাদী রাব্বি বলেন, ‘র‍্যাবের তৎপরতায় আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। তাছাড়া, এই মামলার তদন্ত শেখ হাসিনার নির্দেশে বন্ধ ছিল। এখন যে চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের নাম অপর এক আসামির জবানবন্দিতে এসেছিল কিন্তু তারা কখনই গ্রেপ্তার হননি। আজকের পরিস্থিতিতে তদন্ত কার্যক্রম আবার শুরু করেছে। তদন্তকারী সংস্থা সঠিকভাবে এগোচ্ছে বলে মনে করি। আমরা চাই, এই হত্যাকাণ্ডে যারা যারা জড়িত সকলেই যেন আইনের আওতায় আসে। নিরীহ ও নিরাপরাধী কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়