১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:০২, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত নন দাবি নাসিক কর্মকর্তা আবুলের

অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত নন দাবি নাসিক কর্মকর্তা আবুলের

‘অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত নন’ দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেন। ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তার করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন’ উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের জেরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি করেন।

আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নই। সম্পদের পাহাড় গড়া ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

তার ‘শহরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ফ্ল্যাট থাকা’র বিষয়ে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ফ্ল্যাট বিধি মোতাবেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এসব ফ্ল্যাটের জমির মালিকানা প্রদান করা হয় না। শুধুমাত্র পজিশন হোল্ডারের মতো বসবাস করা যায়। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদী কিস্তির সুবিধা পেয়ে থাকেন। আমিও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতো নিয়ম মোতাবেক আবেদন করে একটি ফ্ল্যাট আমার স্ত্রীর নামে বরাদ্দ পেয়েছি। ফ্ল্যাট বরাদ্দ গ্রহণের সময় আমাকে বিধি মোতাবেক গৃহঋণ নিতে হয়েছে। এছাড়া আমার কোথাও কোনো ফ্ল্যাট নেই। সংবাদে প্রচারিত শহরের বিভিন্ন জায়গায় আমার একাধিক ফ্ল্যাট থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

তার শহরে একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও তার দাবি, তার মালিকানায় কোনো ফার্নিচারের দোকান নেই।

তার জমির তথ্যের বিষয়ে আবুল হোসেনের দাবি, ‘বন্দর উপজেলায় আমার ও আমার স্ত্রীর নামে তিনটি জমি রয়েছে। আমার পৈতৃক ও মা বোনদের হেবাসূত্রে আমার নামে ১৯ শতাংশের একটি ও আমার ফুপুর হেবাসূত্রে ২ শতাংশের একটি জমি রয়েছে। এছাড়াও আমার শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে দানকৃত অর্থ, আমার গৃহঋণের অর্থ, ২০০৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চাকরিজীবনের সঞ্চয় দিয়ে সন্তানদের (দুই কন্যা) ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার স্ত্রীর নামে ২০২০ সালে ২০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করা হয়েছে। যার মূল্য ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।’

তার বিদেশ ভ্রমণের প্রসঙ্গে নাসিক কর্মকর্তা বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছর চাকরিকালীন সময়ে সরকারি প্রশিক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড সফর করেছি কিন্তু জাপান সফর করিনি। এছাড়াও পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় আমি ভারত ও থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য গিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নই। সম্পদের পাহাড় গড়া ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ২০০৭ সাল হতে এ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ যখন যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাখে পালনের চেষ্টা করেছি।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়