সাইনবোর্ডে লাঠি-লোহার পাইপ হাতে ছাত্রলীগের অবস্থান

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে লাঠি ও লোহার পাইপ হাতে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা৷ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সাইনবোর্ড মোড়ে তাদের অবস্থান দেখা যায়৷

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক পিয়াস প্রধানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা বাঁশ, লাঠি ও লোহার পাইপ হাতে মহাসড়কটির সাইনবোর্ড মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন৷

এদিকে, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্টে অনুসারী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন৷
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘একটি কথা মনে রাখবে নারায়ণগঞ্জের ছাত্রলীগ ও ছাত্রনেতৃবৃন্দ তোমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে। শিক্ষার্থীরা কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হয় সেটা তোমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোন বিএনপি, জামায়াত শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটালে ঐ ষড়যন্ত্রকারিদের দাতভাঙা জবাব দিতে হবে। আমাদের যুদ্ধ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নয়, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে। এই অবস্থায় তোমরা সবাই সচেতন, সজাগ ও সর্তক থাকবে।’

সাইনবোর্ড মোড়ে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইমতিনান ওসমান অয়নের অনুসারী বলে পরিচিত৷

এদিকে, বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডের ব্যানারে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে৷ সেখানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা৷

বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা থেকে আসা পতাকা হাতে এক শিক্ষার্থীকে আটকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা৷ পরে ওই ছাত্রের পরিচয়পত্র ও মোবাইল চেক করেন তারা৷ হাতের পতাকাটি রেখে দিয়ে ওই ছাত্রকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়৷

পরে ওই শিক্ষার্থী হেঁটে চলে যাবার সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা সমস্বরে চেঁচিয়ে বলেন, ‘ওই দে দৌড়, দে, দৌড় দে৷’ পেছন থেকে কর্মী ওই ছাত্রকে লক্ষ্য করে একটি বাঁশ ছুড়ে মারেন৷ দ্রুততার সাথে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় এ প্রতিবেদক তার সাথে কথা বলতে পারেননি৷