বন্দরে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা
নারায়নগঞ্জের বন্দরে চোর আখ্যা দিয়ে পল্টন (৩৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে দুই ঘন্টা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর পুকুরের পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় বন্দর দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, একই এলাকার খোকন ও নাঈমসহ কয়েকজন মিলে পল্টনকে চোর আখ্যা দিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত পল্টন বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত সাইদুল ইসলাম মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পল্টন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন লোকজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পল্টন দড়ি সোনাকান্দা বাইতুল সালাত মসজিদের সামনে দিয়ে তার নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে এলাকায় উগ্রমেজাজের বলে পরিচিত খোকন মিয়া ও নাঈমসহ অন্যান্যরা মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক পল্টনকে চোর আখ্যা দিয়ে মসজিদের সাথে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে লাঠিসোটা দিয়ে বেদমভাবে পিটিয়ে ডান হাত ভেঙ্গে ফেলে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে পল্টন অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই সময় আরফিত, লিপি বেগম, ফয়সাল, জয়, শিপলু, আকিল রিজমনি ও আম্বিয়া বেগমসহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০-১৫ জন মিলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক পল্টনকে মসজিদের সামনে থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে একটি পুকুরে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে তুলে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে পুনরায় মসজিদের সামনে নিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে মরিচের ফাঁকি গুলিয়ে নাকে মুখে ঢেলে দেয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে থানার হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
