০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৩২, ২৭ জুন ২০২৪

ফতুল্লায় রাস্তার উপর আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন, আহত দুই ছেলেসহ ৪ জন

ফতুল্লায় রাস্তার উপর আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন, আহত দুই ছেলেসহ ৪ জন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং ইট-বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল আলীপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম৷

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম সুরুজ মিয়া (৬৭)৷ তিনি কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন৷ হামলার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি৷

এ ঘটনায় আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহতের দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০), তাদের সহযোগী অটোরিকশা চালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুরুজ মিয়া ও তার ছেলেরা ইট ও বালুর ব্যবসা করেন৷ এ ব্যবসা নিয়ে ওই এলাকার সন্ত্রাসী বাহিনী ‘সাল্লু বাহিনীর’ সাথে দ্বন্দ্ব ছিল তাদের৷ এ দ্বন্দ্বের জেরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে৷

ফতুল্লা থানার ওসি নূরে আযম বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার ও ইট-বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে পুরোনো দ্বন্দ্বের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু ওরফে সাল্লু তার লোকজন নিয়ে এ হামলা চালায়৷ তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করেন৷ হাসপাতালে একজন মারা যান৷’

নিহতের আত্মীয় সাব্বির হোসেন বলেন, ‘সাল্লু ও তার ভাই হীরাসহ তাদের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে৷ তাদের অস্ত্রের কোপে আমার তালইয়ের (সুরুজ মিয়া) আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ ওরা সন্ত্রাসী, এলাকায় খুব উৎপাত করে৷ যেকেনো বাড়ি বানালেও ওদের চাঁদা দিতে হয়, ওদের কাছ থেকে ইট, বালু কিনতে বাধ্য করে৷ কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর হামলা চালায়৷’

গত বছরের ৬ এপ্রিল হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, মারামারিসহ নানা অভিযোগে ১৬ মামলার আসামি আফজাল হোসেনকে (৪২) রাস্তার উপর কুপিয়ে খুন করা হয়৷ এ ঘটনায়ও সালাউদ্দিন ওরফে সাল্লুর জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে৷

এদিকে, দুপুরে হামলার ঘটনার পর থেকে এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ সন্ধ্যায় সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে অধিকাংশ দোকান-পাট বন্ধ পাওয়া যায়৷
স্থানীয় এক মুদির দোকানি আবুল কাশেম বলেন, ‘আতঙ্কে লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে৷ আবারও হামলা বা মারামারি হয় কিনা সে ভয়ে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে কম৷’
ওসি নূরে আযম বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আছে৷ পুলিশের একাধিক টিম হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে৷ এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷’
তবে রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি৷

সর্বশেষ

জনপ্রিয়