০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:২১, ২০ মে ২০২৪

আড়াইহাজারে কিশোরী গণধর্ষণে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪

আড়াইহাজারে কিশোরী গণধর্ষণে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ব়্যাব৷ গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানান ব়্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা৷

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করেন গ্রেপ্তার আসামিরা৷

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মূল পরিকল্পনাকারী আড়াইহাজার উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (২৪), তার সহযোগী নরসিংদীর মাধবদীর মৃত মনসুর আলীর ছেলে মো. মতিন (৩৫), আড়াইহাজারের রহিম মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া (২৮) ও মফিজউদ্দিনের ছেলে আয়নাল (২৫)৷

অভিযানে তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগীর মোবাইলসহ একটি দেশীয় তৈরি ওয়ানশুটার গান, একটি শাবল, একটি দা, দুইটি রামদা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি জব্দ করা হয় বলে জানায় ব়্যাব৷

মামলার নথির বরাতে ব়্যাব জানায়, গত ১৫ মে আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে৷ এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন৷ চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে ব়্যাব৷

প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাতে তানভীর মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্রের সদস্য, যার মূলহোতা আব্দুল্লাহ। এই চক্রে ১০-১২ জন সদস্য রয়েছে। আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে তারা গত ২ বছর যাবৎ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে বেড়ায়৷

"ঘটনার রাতে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে যায়৷ আব্দুল্লাহ ও মতিন ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে৷ এ সময় ঘরে থাকা ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মায়ের ঘুম ভেঙে গেলে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরে তারা বাকি সহযোগীদের নিয়ে মা-মেয়ের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে৷ ঘরে কোনো মূল্যবান জিনিস না পেয়ে ভুক্তভোগীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাশে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে মুুখে ওড়না পেঁচিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে৷ পরে ভুক্তভোগী কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় রেখে তার মাকে এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়৷”

এ ডাকাত চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ এক সময় একটি স্পিনিং মিলে কাজ করতো৷ পরে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লে ডাকাত চক্রটি গড়ে তোলে৷ সে ডাকাতি পেশাকে আড়াল করতে বাসচালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো এবং কখনো রিকশা চালাতো বলে জানান এ ব়্যাব কর্মকর্তা৷

তার অন্যতম সহযোগী মতিনও ডাকাত পরিচয়কে আড়াল করতে সিএনজি চালাতো এবং বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির টার্গেট নির্ধারণ করে ডাকাতির পরিকল্পনা করে আব্দুল্লাহকে জানাতো৷ তার বিরুদ্ধে নরসিংদীর মাধবদী থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনো অন্তত তিনটি মামলা রয়েছে৷ গ্রেপ্তার অপর ব্যক্তি চান মিয়ার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানায় অস্ত্র, ডাকাতি ও চুরিসংক্রান্ত তিনটি মামলা রয়েছে৷ আয়নালও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা একটি মামলার আসামি বলে জানায় ব়্যাব৷

সর্বশেষ

জনপ্রিয়