০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:২৫, ১৯ মে ২০২৪

আড়াইহাজারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাহজালালের অভিযোগ 

আড়াইহাজারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাহজালালের অভিযোগ 

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশ কিছু কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী শাহজালাল মিয়া। রোববার দুপুরে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা পশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বির কাছে লিখিতভাবে দুইজন প্রিজাইডিং ও একজন সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিষয়ে শাহজালাল মিয়া লিখিত আপত্তি জানান। সেই সঙ্গে সংসদ সদস্যের প্রভাব বিস্তার বন্ধ, ৬টি ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সর্বোচ্চ ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষনিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান।

প্রার্থীর দুই স্বজনকে নির্বাচন পরিচালনা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।  

তার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার, শাহজালাল মিয়ার অনুসারী ও সম্ভাব্য পোলিং এজন্টদের হুমকির অভিযোগ করেন এই প্রার্থী। পরে আরেকটি আবেদনে সংসদ সদস্য বা তাঁর স্ত্রী সভাপতি, এমন ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত না করার দাবি জানান।

লিখিত অভিযোগে শাহজালাল মিয়া বলেন, ‘ আমার নির্বাচনী এলাকায় ১৩৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে কালাপাহাড়িয়া একটি দুর্গম এলাকা। এছাড়া দুপ্তারা ও ফতেপুর ইউনিয়ন সহ আরো  কিছু এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করে জাল ভোট এবং নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে। এবং দোয়াত কলম প্রতীকের কোনো পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেয়া যাবে না বলে জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবুর পক্ষে ঘোষনা করা হচ্ছে। যার ফলে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মাঝে সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি আমার কর্মীরা পোলিং এজেন্ট হতে ভয় পাচ্ছে। তার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোনো কার্যকরী সমাধান পাওয়া যায়নি। ‘

সংসদ সদস্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনের ভারসাম্য নষ্ট করছে দাবি করে অভিযোগে বলা হয়, ‘তার আগে হুইপ ও তার স্ত্রীর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের ব্যাপারে আপত্তি জানানো হলেও তারা নির্বাচনী কার্যক্রমে বহাল রয়েছে।  এর মধ্যে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর চাচা শশুড় হাজী বেলায়েত হোসেন ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক হায়াতুজ্জামানকে বিশনন্দী ৭ নম্বর ওয়ার্ড ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং প্রার্থীর খালু পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. বেনজীর আহমেদকে ২০ নম্বর মধ্যারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্বে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনের নেতা নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনও একটি কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন। যা একপাক্ষিক নির্বাচন পরিকল্পনার ইঙ্গিত।’

এমন পরিস্থিতিতে, সংসদ সদস্যকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনা এবং দোয়াত কলম প্রতীকের কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো থেকে বিরত রাখা, সকল বিতর্কিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের নির্বাাচন থেকে প্রত্যাহার, কালাপাহাড়িয়া, দুপ্তারা, ফতেপুর, ব্রাহ্মন্দী, গোপালদী ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন ও সর্বোচ্চ ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন জানান এই প্রার্থী। 

তার আগে ভোটের দিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন এমন এক  শিক্ষককে আড়াইহাজারে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে ওই শিক্ষক নিজেই পোলিং অফিসারের দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়