০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৫১, ১৬ জুলাই ২০২৪

‘স্বাধীনতা বিরোধীদের এজেন্টরা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে’

‘স্বাধীনতা বিরোধীদের এজেন্টরা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে’

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের এক সমাবেশে দাবি করেছেন বক্তারা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট নুরুল হুদা। বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভূঁইয়া জুলহাস, বন্দর উপজেলার ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাসির, সোনারগাঁও উপজেলার ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি, আড়াই হাজার উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার রুহুল আমিন, রূপগঞ্জ উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার আমানুল্লাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক শরিফ উদ্দিন সবুজ, ইঞ্জিনিয়ার রাজিব, মইনুদ্দিন চিশতী, সৈয়দ সাদিম আহমেদ, মেহেদী হাসান রাজু, আলেয়া আক্তার, আক্তার হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের এজেন্টরা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ও উস্কানি দিয়ে কোটা আন্দোলন ঘটাচ্ছে। কোটা আন্দোলনের নামে 'তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার' এ ধরনের স্লোগান দেয়া দেশ দ্রোহীতার শামিল। মুক্তিযোদ্ধা কোটা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যদি এই দেশ স্বাধীন না করতো তাহলে দেশবাসীর বৈষম্যমূলক বেতনের ৫ শতাংশ কোটা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হতো।’
তারা নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বিরত থাকার আহ্বান জানান। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা বলেন, ‘কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন অনেকদিন যাবৎ চলছে। নেত্রী এক পর্যায়ে অধ্যাদেশ জারি করে কোটা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এটার পর একটি মামলা হলে কোটা চালু করতে বাধ্য হয় সরকার। এখন এইটা দেশের বিচার-ব্যবস্থার হাতে, নেত্রীর হাতে কিছু নাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আন্দোলনকারীদের মাঝে কিছু জামাত-বিএনপির লোকজন ঢুকে গেছে। তারা ঢুকে সারাদেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করলেন কেউ কেউ, সেখানে বাধা দেওয়া হলো। কোমলমতি শিশুদের ভিন্নখাতে পরিচালিত করলো। এখনও বিশৃঙ্খলা চলছে। বিচার-ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখে আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা করেন। অপেক্ষা না করে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা করবেন, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ বলে স্লোগান দেবেন, তাহলে মুক্তিযোদ্ধারা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তি সেখানে বসে থাকতে পারে না। আন্দোলনের নামে অরাজকতা করবেন না।’

খোকন সাহা বলেন, ‘ওরা ভুল দিকে পরিচালিত করছে। যারা দেশকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

নুরুল হুদা বলেন, ‘অনেকে বলেন যে আমরা ৫২ বছর ধরে কোটা সুবিধা ভোগ করছি। অথচ ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আমাদের সন্তানরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান  হিসেবে পরিচয় দিতে পারেনি। বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের সন্তানরা ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারেনি। কোটায় চাকরি পাবে তো অনেক দূরের বিষয়। আবার কেউ কোটায় চাকরির উপযুক্ত হয়ে চাকরি প্রার্থী হলে তাকেও চাকরি দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোটা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। যদিও এখনো মুক্তিযোদ্ধা কোটা ঠিকমতো দেয়া হয় না।’

তিনি আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য কোটা নিশ্চিতের দাবি জানান।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়